রংপুর-জামালপুরে হচ্ছে পল্লী উন্নয়ন একাডেমি
প্রকাশিত : ০৫:০৬ পিএম, ২৮ এপ্রিল ২০২২ বৃহস্পতিবার

রংপুরে পল্লী উন্নয়ন একাডেমি এবং জামালপুরে শেখ হাসিনা পল্লী উন্নয়ন একাডেমি হচ্ছে। এজন্য ‘শেখ হাসিনা পল্লী উন্নয়ন একাডেমি, জামালপুর আইন, ২০২২’ ও ‘পল্লী উন্নয়ন একাডেমি, রংপুর আইন, ২০২২’ এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এই বৈঠক হয়।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, দুটো আইন একই জিনিস। সরকার একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আমাদের পল্লী উন্নয়ন ও সার্বিক উন্নয়ন কার্যক্রমকে প্রাইভেট সেক্টর বিশেষ করে ক্ষুদ্র উদ্যোগকে আরও কার্যকর করার জন্য আমাদের বার্ড (কুমিল্লার বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি) ও আরডিএ’র (পল্লী উন্নয়ন একাডেমি, বগুড়া) আদলে আরও কিছু একাডেমি প্রয়োজন। কারণ, যে পরিমাণ কাজ বেড়ে গেছে, তাতে এই দুটি একাডেমি পর্যাপ্ত নয়। এজন্য দুটি আইন নিয়ে আসা হয়েছে। দুটি আইনই একই রকম।
দুটি আইনের খসড়ায় ২৩টি করে ধারা রয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এ আইনের মাধ্যমেই একাডেমি দুটি প্রতিষ্ঠিত হবে। এগুলো বার্ড এবং আরডিএ’র আদলেই পরিচালিত হবে। একটা বোর্ড থাকবে। কার্য সম্পাদনের ক্ষেত্রে বোর্ড আইন, বিধি ও সরকারের নির্ধারিত নির্দেশনা অনুসরণ করবে। ২১ সদস্য বিশিষ্ট বোর্ডের চেয়ারম্যান থাকবেন পদাধিকার বলে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের মন্ত্রী/প্রতিমন্ত্রী বা উপমন্ত্রী। ভাইস-চেয়ারম্যান হবেন পদাধিকার বলে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব। সদস্য সচিব থাকবেন একাডেমির মহাপরিচালক।
‘এটার কাজ হবে মূলত সক্ষমতা বৃদ্ধি করা। কিছু কিছু পাইলট প্রজেক্ট করা। পল্লী উন্নয়ন ও এ সংক্রান্ত বিষয়ে তারা ডিপ্লোমা দেবে, সার্টিফিকেট কোর্স করবে। এক্ষেত্রে প্রয়োজন বোধে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় বা শিক্ষাবোর্ডের সঙ্গে তারা এফিলিয়েটেড থাকবে।’
খন্দকার আনোয়ারুল বলেন, প্রফেশনাল ট্রেনিংগুলো তারা করাবে। পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক অনেক প্রশিক্ষণের বাইরেও বিভিন্ন ক্যাডারের ফাউন্ডেশন ট্রেনিংগুলো এসব একাডেমিকে সম্পন্ন করতে হয়েছে।
রংপুর-জামালপুরে হচ্ছে পল্লী উন্নয়ন একাডেমি
তিনি বলেন, সবচেয়ে বড় জিনিস থাকবে গবেষণার কাজ। গবেষণা হবে তাদের মৌলিক বিষয়। একই সঙ্গে তাদের কাজ হবে নতুন নতুন পাইলট প্রজেক্টের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রযুক্তি বা কর্মসূচি বা কার্যক্রম ভালো করে করা।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও বলেন, তাদের দায়িত্ব থাকবে ব্যাপক গবেষণা করা, পাইলট প্রজেক্ট করা, সরকারের বিভিন্ন সক্ষমতা বাড়ানোর ভেন্যু হিসেবে কাজ করা। মাঠ পর্যায়ের কন্ট্রাক্ট বডি হিসেবে সেগুলোর কার্যকারিতা কতটুকু হবে সেই বিষয়ে পরীক্ষা করা।
খসড়া আইন অনুযায়ী প্রতি চার মাসে বোর্ডের একটি মিটিং হবে জানিয়ে খন্দকার আনোয়ারুল বলেন, চেয়ারম্যান এগুলো ঠিক করে দেবেন। সরকার ডিজি নিয়োগ দেবে। যুগ্মসচিব বা এর ওপরের কোনো কর্মকর্তাকে নির্ধারিত শর্তে সরকার ডিজি নিয়োগ দেবে। কর্মচারীদের নিয়োগ বোর্ডের নিয়োগবিধি অনুযায়ী হবে। একটা তফসিলি ব্যাংকে একাডেমির তহবিল থাকবে।
এরপর যশোরেও হয়তো একটা পল্লী উন্নয়ন একাডমি হবে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।