বাঁধভাঙ্গা পরিবারের কান্না আর কতদিন!
জামান মৃধা, নীলফামারী:
প্রকাশিত : ১১:১১ পিএম, ১২ মে ২০২২ বৃহস্পতিবার

নীলফামারী ডিমলা উপজেলার তিস্তা নদী তীরবর্তী দক্ষিণ খড়িবাড়ী (মসজিদপাড়া) গ্রামের নদীরক্ষা বাধঁটি গতবছরের আকস্মিক বন্যায় ভেঙ্গে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়ে বাড়িঘর, ফসলি জমিসহ চাষাবাদের ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েন ওই এলাকার মানুষজন।
জানা গেছে, দক্ষিণ খড়িবাড়ী মসজিদ পাড়া এলাকার দুই শতাধিক পরিবারের বসতবাড়িতে গত বছর আকস্মিক বন্যার পানি প্রবেশ করে অনেকের বাড়ি ভাসিয়ে নিয়ে যায়। এছাড়াও নদীরক্ষা বাঁধ ভেঙ্গে প্রায় দুই শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছিল। সেখানকার অনেক মৎস্য খামার বন্যার পানিতে প্লাবিত হওয়ায় মৎস্য খামারিরা নিঃস্ব হয়ে পড়েন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মসজিদপাড়া গ্রামের প্রায় আট শত থেকে এক হাজার পরিবারের বসবাস। কিন্তু গত এক বছর ধরে ভাঙ্গা বাঁধটি হয়নি সংস্কার বা পুননির্মাণ।
ক্ষতিগ্রস্ত লোকজন অভিযোগ করে বলেন, অলিয়ার রহমানের বাড়ির নিকট প্রায় ৫০-৬০ ফুট নদীরক্ষা বাঁধ ভেঙ্গে পানির স্রোত প্রভাবিত হয় জনবসতিপূর্ণ এলাকায়। কিন্তু অদ্যাবধি ভাঙ্গা জায়গাটি মেরামত অথবা সংস্কার না করায় রাস্তাটি যান চলাচলে স্কুল কলেজগামী ছেলেমেয়েদের যাতায়াতে বিঘ্ন সৃষ্টি করে। সবচেয়ে অসহনীয় দুর্যোগে পড়েন রোগী ও রবিশস্য পরিবহনে ওই এলাকার মানুষজন।
স্থানীয় বাসিন্দা অলিয়ার রহমান, জাহাঙ্গীর ও আজিজার রহমান জানান, বাধঁটি পরপর তিন জায়গায় বন্যার পানির তীব্র স্রোতে ভেঙ্গে গেলে একটি মেরামত হলেও আমার বাড়ির পাশের ভাঙ্গাটি দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও মেরামত করা হয়নি আজও।আমরা একাধিক বার স্থানীয় ইউ.পি সদস্য ও চেয়ারম্যানের সাথে বসেছি তিনি আশ্বাস দিলেও রাস্তাটি এখনো মেরামত বা সংস্কারের কোন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি।
একই গ্রামের বাসিন্দা এবং সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম (শাহীন) বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে রাস্তাটি মেরামত করা না হলে আসন্ন বর্ষা মৌসুমে পুরো গ্রাম প্লাবিত হয়ে যাবে। উপজেলা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যেন দ্রুত সময়ের মধ্যে রাস্তাটি মেরামতের ব্যবস্থা করেন। তাহলে হাজারো পরিবার আগামী বন্যার হাত থেকে রক্ষা পাবে।
এ ব্যাপারে টেপাখড়িবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান ময়নুল হক বলেন, ভাঙ্গা রাস্তা গুলো মেরামত করার জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষেকে অবগত করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এসে পরিদর্শন করে গেছেন। কিন্তু কোন বাজেট না থাকায় আমার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে রাস্তাটি চলাচল উপযোগী করে তোলা হবে।